জাকির সিকদার সাভার থেকেঃ আশুলিয়ায় পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের সহায়তায় স্ত্রীর বিরেুদ্ধে ম্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার গভীর রাতে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার তাহের পাটোয়ারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, চার বছর পূর্বে বরগুনা জেলার তালতলি থানার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ শরিফের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৭) একই গ্রামের সেলিম তালুকদারের মেয়ে শাহনাজ (২২) কে ভালোবেসে বিয়ে করে। আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় থেকে বনানীর একটি রিক্রুটিং অফিসে কাজ করতো মাসুম। দুই বছর পূর্বে সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় তার স্ত্রী শাহনাজ খালাতো ভাই বেলালের সাথে পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে পরে। এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময় মাসুম তার স্ত্রী শাহনাজের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটতো। এরই জেরে
বুধবার রাতে শাহনাজ তার প্রেমিক বেলালের সহযোগিতায় জোরপূর্বক তার স্বামী মাসুমের পুরষাঙ্গ কর্তন করে। এ সময় মাসুমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে বেলাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুমকে উদ্ধার করে নিকটস্থ আসাদ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী শাহনাজকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানতে চাইলে আটককৃত শাহনাজ বলেন, রাতে তাদের বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে মাসুম নিজেই ব্লেড দ্বারা তার পুরুষাঙ্গ কাটে। সে কর্তনের বিষয়টি অস্বীকার করে।
মাসুমের বড় ভাই মিলন জানান বিয়ের পর গত চার বছর থেকেই মাসুম ও তার স্ত্রী শাহানাজ এর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত বলে পরস্পরের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটতো। আগের রাতে ঝগড়া ও মারপিটের রেশ ধরে সকালে ঘুমন্ত মাসুমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় শাহনাজ। স্ত্রী শাহানাজ স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কর্মী।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদ হাসান জানান, রোগীর পুরুষাঙ্গ প্রায় পঞ্চাশ ভাগ কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সে এখন আশঙ্কামুক্ত বলেও জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনাটি তিনি অবগত আছেন। ভুক্তভোগীর ভাই দুলাল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্ত্রী শাহনাজকে পুলিশ আটক করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।